Tuesday, March 7, 2017

প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে তৃণমূলের স্বজনপোষণ ?

প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে তৃণমূলের স্বজনপোষণ ?
Published 07-Mar-2017 20:19 IST
ফাইল ফোটো

বিরোধীদের প্রশ্ন, যদি মেধার ভিত্তিতেই চাকরি হয়ে থাকে তাহলে শুধু তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়রা চাকরি পেল কেন ? মেধা কি শুধুই শাসকদলের অন্দরে ? অন্য রাজনৈতিক দলের অনুগত বেকারদের কি মেধা নেই ? জলপাইগুড়ি সদর DYFI জ়োনাল সম্পাদক দীপশুভ্র সান্যাল বলেন, “প্রথমত, পদে থেকে নিজের এক আত্মীয়কে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছেন খোদ সংসদ চেয়ারম্যান। মেধার ভিত্তিতেও যদি ওই আত্মীয় চাকরি পেয়ে থাকেন, তবুও এই ঘটনা অনৈতিক। চেয়ারম্যানের উচিত ছিল যেহেতু তাঁর আত্মীয় চাকরিপ্রার্থী তাই সাময়িকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানো। কিন্তু, তা হয়নি। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকার লিস্ট না দিলেও আমরা দেখছি দেদারে তৃণমূল নেতাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যারা চাকরি পেয়েছেন। সকলেই মেধার জোরে পেলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিরোধীদের কি মেধা নেই ? সব মেধাই কি শাসকদলে রয়েছে ? এর উত্তর চাইছি আমরা।”


ইতিমধ্যে একটি লিফলেট ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়িতে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন সংসদ সভাপতি ধর্তিমোহন রায়ের দুই নিকট আত্মীয়। চাকরি হয়েছে জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল দেবনাথের ছেলে ও তার ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীর। চাকরি হয়েছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাতর স্ত্রী রানি মাহাতর। চাকরি পেয়েছেন বিভিন্ন ব্লক সভাপতির স্ত্রী ও পুত্র-কন্যা, তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদ সাধারণ সম্পাদকের আত্মীয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নিকট আত্মীয়রা।
                                               এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়
বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন জলপাইগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায়। তাঁর কথায়, “সংসদের নিয়মে কোথাও বলা নেই আত্মীয় চাকরিপ্রার্থী হলেই পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। তাছাড়া আমি পরীক্ষা নিইনি। আমার কাজ পোস্টিং দেওয়া। শুধু সেটুকু করেছি।” তৃণমূল নেতার আত্মীয়দের চাকরির প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, “শুধু তৃণমূল  নেতা নয়, CPI(M) নেতাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদেরও চাকরি হয়েছে। জলপাইগুড়ির দেবজিৎ সরকার (প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান DYFI নেতা), পৌলমী মুখোপাধ্যায় (CPI(M) নেতার আত্মীয়, সুজাতা দেব (স্বামী গোপেন দেব CPI(M) নেতা), অরিন্দম সেন (CPI(M) নেতা), শুভম ঠাকুর, ইনজামুল হক, আজিজুল হক (CPI(M) নেতা), প্রসূন কর (CPI(M) নেতা), মৌমিতা চক্রবর্তী (বাবা বিশু চক্রবর্তী CPI(M) নেতা), এরা সকলেই চাকরি পেয়েছেন। আরও বহু CPI(M) কর্মী চাকরি পেয়েছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, শুধু তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নয়, বিরোধীরাও চাকরি পেয়েছেন। সব বিরোধীদলের কর্মী, সমর্থকরাই চাকরি পেয়েছেন।” সংসদ সভাপতি আরও বলেন, “বিরোধীরা বেশি বাড়াবাড়ি করলে লিফলেট আকারে লিস্ট প্রকাশ করা হবে।”

প্রাইমারির তালিকা কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না ? এ প্রশ্নের উত্তরে ধর্তিবাবু বলেন, প্রাইমারির তালিকা প্রকাশ করতে আমরা প্রয়োজন বোধ করছি না। কিছুদিন আগেই অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “প্রত্যেকের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকা টাঙাতেও বলা হয়েছে।” তা সত্ত্বেও নির্দেশ কেন মানা হচ্ছে না সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মিলছে না।





                                 






Monday, March 6, 2017

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় কেলেঙ্কারি, বঞ্চিত যোগ্য প্রার্থীরা, দেখুন সেই তালিকা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় কেলেঙ্কারি, বঞ্চিত      যোগ্য প্রার্থীরা, দেখুন সেই তালিকা


দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে মানা হল না নিয়ম ।

 | Updated: March 6, 2017 11:09 PM IST

দক্ষিণ দিনাজপুর, ৬ মার্চ। রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতির অভি‌যোগে উঠেছে। কোথাও চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ের ডাক মেলেনি পাননি। কোথাও আবার ফেল করে ‌যাওয়া প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে । এমনকি শাসকদলের নেতা কর্মীদের স্ত্রী-বান্ধবীদের চাকরি হয়েছে বলেও অভি‌যোগ। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে টেটের তালিকা নিয়ে উঠল চাঞ্চল্যকর অভি‌যোগ।  (আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্র ফাঁস, বাতিল হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা?)
West Bengal Primary Teachers Recruitment Rules 2016  বলছে, নম্বরের বিচারে প্রথমে অসংরক্ষিত তালিকা তৈরি করতে হবে। নম্বর থাকলে সেই তালিকায় ঠাঁই পাবেন সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা। কিন্তু এক্ষেত্রে দক্ষিণ দিনাজপুরে ‌যে প্যানেল তৈরি হয়েছে, তাতে দেখা ‌যাচ্ছে এই নিয়ম মানা হয়নি। অসংরক্ষিত তালিকায় সাধারণরা জায়গা পেয়েছেন। বেশি নম্বর পেয়েও তালিকায় জায়গা হয়নি সংরক্ষিত শ্রেনির প্রার্থীদের।  (আরও পড়ুন: ‘টাকা দিতে পারেননি, তাই তৃণমূল করেও চাকরি পাননি অনেকেই’)
অসংরক্ষিত প্যানলে প্রার্থীর সর্বনিম্ন নম্বর ১৬.৪৩৬। অন্যদিকে তপশীলি জাতির প্যানেলে সর্বোচ্চ নম্বর ২৪.৯৯৪। তপশীলি উপজাতি প্যানেলের সর্বোচ্চ নম্বর ২০.৯০২। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেনি (A ) তালিকায় সর্বোচ্চ নম্বর ২৫.১৩৫। এই প্রার্থীরা তো অসংরক্ষিত তালিকাতেই সু‌যোগ পেতেন। কারণ অসংরক্ষিত তালিকায় সর্বনিম্ন নম্বরের চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পেয়েছেন তাঁরা। (আরও পড়ুন: সপ্তাহ ঘুরতেই চাকরি গেল নবনি‌যুক্ত ৪৪ শিক্ষকের, নিয়োগ বাতিল করল জেলা শিক্ষা সংসদ)
গোটা দেশেই সরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আগে অসংরক্ষিত আসনের তালিকা তৈরি করা হয়। সেখানে নম্বরের ভিত্তিতে সংরক্ষিতদেরও ঠাঁই হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন নিয়ম মানা হল না? তাহলে কি পছন্দের প্রার্থীদের সু‌যোগ করে দিতে বঞ্চিত করা হল পিছিয়ে পড়াদের? উঠছে প্রশ্ন। নিচে দেওয়া হল সেই তালিকার ছবি। তালিকাটির তথ্য ইন্ডিয়া ডট কম ‌যাচাই করেনি।
ছবি – কমলকুমার বিশ্বাস
ছবি – কমলকুমার বিশ্বাস
ছবি – কমলকুমার বিশ্বাস