বিশেষ প্রতিবেদন: ২০১৩ থেকেই রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন৷ দিন যত এগিয়েছে বিতর্কের আঁচে ততই কলঙ্কিত হয়েছে প্রাথমিক টেট৷ এই নিয়ে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে ডান-বাম সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ এমনকি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসে টেট কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিতর্ক এখন অনেকটাই শিথিল ৷ তবে এতকিছুর পরেও কতটা স্বচ্ছভাবে চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া? তা নিয়েই অন্তর্তদন্ত করেছিল কলকাতা ২৪x৭৷
দিন কয়েক আগে আমরা জানতে পারি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে এখনও রমরমিয়ে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি৷ যার নেপথ্যে রয়েছে এক বিরাট চক্র৷ তাদের দাবি পরীক্ষা দেওয়ার কোনও দরকারই নেই৷ পাঁচ লক্ষ টাকা দিলেই সরকারি চাকরি মিলবে হাতে গরমে ৷ আমাদের কাছে খবর আসার পরেই এই বিষয়ে অন্তর্তদন্ত চালাই আমরা৷ কথা হয় সন্দীপ নস্কর নামে পাঁচ লাখের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এইরকম এক চক্রের পাণ্ডার সঙ্গে৷তার কথায়, ‘প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আমি করছি। পাঁচ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি।’ তবে এখানেই থেমে থাকেনি সন্দীপ৷ তার আরও দাবি৷ টাকা নিয়েছে নিচু তলা থেকে খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত ৷শিক্ষামন্ত্রী এক কোটি ৫২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য। পার্থবাবুর টাকা নেওয়ার ভিডিও ক্লিপিংটিও নাকি রয়েছে এই চক্রের কাছে। শুধু শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরাই নয়৷ এর পিছনে রয়েছে সিপিএম , বিজেপির অনেক নেতাই৷ অন্তত মহামান্য সন্দীপের এমনটাই দাবি৷
সন্দীপ একা নয়৷ তার সঙ্গে রয়েছে অনুপ কুমার দাস নামে আরও পাণ্ডা৷ যে সম্পর্কে সন্দীপের নিজের জামাইবাবু৷ অনুপের বাড়ির ঠিকানা- ১/৩ গৌড়লাহা স্ট্রিট, জোড়াবাগান, কলকাতা- ৬। এই বাড়িতেই হবে মস্ত চুক্তি৷ তবে মুখের কথায় কোনও লেনদেন নয়৷ কোর্ট পেপারে দুই পক্ষ সই করে তবেই হবে এগ্রিমেন্ট৷ হোক না ঘুষের টাকা৷পরেরদিন সকালে মত পাল্টে যায় সন্দীপের৷ আমাদের প্রতিনিধিকে ফোনে সে বলে কারও বাড়িতে নয়৷ টাকা নিয়ে আসতে হবে দমদম স্টেশন চত্বরে৷ যাতে কারও কনও সন্দেহ না হয়, এর জন্য টাকা কালো প্লাস্টিকে করে নিয়ে যেতে বলে সন্দীপ৷এরপর সন্দীপের কথামতো আমাদের প্রতিনিধি ঠিক দুপুর দুটো নাগাত দমদম স্টেশন চত্বরে গিয়ে হাজির হয়৷ তবে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আসে সন্দীপ৷ তবে নগদে কোনও টাকা নয়৷ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চেক দেওয়া হয় সন্দীপকে। সেই সময় চাকরি প্রার্থীর কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি তাকে। ‘রাতের মধ্যে সব ডকুমেন্টস জোড়াবাগানে অনুপ কুমারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়ে দেয় সন্দীপকে৷ সেই দিন রাত পর্যন্ত সন্দীপ নস্কর জোড়াবাগানেই থাকবে বলে জানিয়েছিল। সব ডকুমেন্টস হাতে পেলেই চূড়ান্ত হবে চুক্তিপত্র। তবে চাকরি পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা হবেনা বলে আমাদের প্রতিনিধিকে আস্বস্ত করে সন্দীপ৷
এরপর সন্দীপের কথামতো আমাদের প্রতিনিধি ঠিক দুপুর দুটো নাগাত দমদম স্টেশন চত্বরে গিয়ে হাজির হয়৷ তবে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আসে সন্দীপ৷ তবে নগদে কোনও টাকা নয়৷ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চেক দেওয়া হয় সন্দীপকে। সেই সময় চাকরিপ্রার্থীর কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি তাকে। ‘রাতের মধ্যে সব ডকুমেন্টস জোড়াবাগানে অনুপ কুমারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়ে দেয় সন্দীপকে৷ সেই দিন রাত পর্যন্ত সন্দীপ নস্কর জোড়াবাগানেই থাকবে বলে জানিয়েছিল। সব ডকুমেন্টস হাতে পেলেই চূড়ান্ত হবে চুক্তিপত্র। তবে চাকরি পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা হবেনা বলে আমাদের প্রতিনিধিদের আস্বস্ত করে সন্দীপ৷
No comments:
Post a Comment